আলহামদুলিল্লাহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম আমীর #পীর_সাহেব_চরমোনাই_দাঃবাঃ এর আহবানে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের মাঝে 20 হাজার রোহিঙ্গা শরনার্থীদেরকে ঘর নির্মান করে দেয়ার ঘোষনাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার পক্ষ থেকে কিছু বাস নিয়ে
#টেকনাফ উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো....বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ডাঃ মোহাঃ আনোয়ার হোসেন সাহেব,মাটিরাঙ্গার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব ইবরাহীম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ .অাজ ত্রান দিতে গিয়ে যখন কুতুপালং পাহাড়ের উপর উঠলাম, চলতে চলতে হঠাৎ করে কয়েকজনের কুরঅান তেলাওয়াতের মধুর অাওয়াজ অামার কানে এসে বেজে উঠল,থমকে দাড়ালাম, জিজ্ঞাসা করলাম এই অাওয়াজ কোথা থেকে অাসছে,এক রহিঙ্গা ভাই বলে হুজুর পাশেই একটি অালেম পরিবার মাদরাসা করেছে,কিন্তু দেখার কেও নাই, কুরঅান শরিফের অভাবে পড়তেও পারছেনা,
গেলাম সেখানে, দৃষ্য দেখে চোখে পানি চলে অাসল,
উল্লেখ্য অামি অাজকে মাদরাসার ভিতর থেকেই লাইভে অাসছিলাম, অামি যখন ভিতরে ঢুকলাম দেখি একটি অালেম পরিবার থাকার জন্য তাবু দিয়ে কোন রকম একটি ঘর করেছে যোখানে কোন রকম ছোট্র একটি পরিবার থাকতে পারে, সেখানেই প্রায় ৩০-৪০ জন ছাত্র/ ছাত্রী অামপারা নিয়ে করুন ও মধুর কন্ঠে তেলাওয়াতে ব্যাস্ত,অামি যখন ঘরের ভিতর প্রবেশ করি পরিবারের মহিলা সদস্যগন সেখানে উপস্থিত ছিল, অামাকে দেখে যখন অাড়াল হতে গেল তড়িঘড়ির কারনে বাচ্চাটা সঙ্গে নিতে পারেনাই,
অামার দিকে চাতক পাখির ন্যায় তাকিয়ে ছিল বাচ্ছাটি, অামি অার স্থির থাকতে পারিনাই,কোলে উঠিয়ে নিলাম হাফেজ পরিবারের শিশু সন্তানকে।
যখন অামি কথা বলছিলাম পাশের প্রায় ৫০ জন লোক হাওমাও করে কেদে উঠল,
তাদের বর্ননা অামাদের চোখের সামনে শত শত মসজিদ মাদরাসা জালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে মগ সন্ত্রাসীরা,
পায়ে ধরে কেদেছিলাম লাথি মেরে ফেলে দিয়েছে কিন্তু পুড়াতে ইতস্ত করেনি,
তাদের তথ্য অনুযায়ী তাদের এলাকার ৫০ টি মসজিদ ও ১১ টি মাদরাসা ১ দিনে পুড়িয়ে দিয়েছে, অার বলেছে ১০ মিনিটের মধ্যে এলাকা না ছাড়লে তোদেরকেও এই অাগুনের মধ্যে পুড়িয়ে মারবে,
যখন বর্ননা দিচ্ছিল তখন পাশের পুরুষ মহিলা যে কিভাবে কানতেছিল তা বলে বুঝানো বড় দাই,
অামার লাইভ ভিডিওতে কিছুটা দেখতে পাবেন।
এরকম অনেক অালেমের সাথে সাক্ষাত হয়েছে,যারা বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক এবং বিভিন্ন মসজিদের ইমাম তাদের চোখের সামনে মাদরাসা মসজিদ পোড়াতে দেখেছে,
পোড়াতে দেখেছে অনেক ছাত্র/ ইমাম সাহেব কে,,,
অাহ! কি অার বলব লিখতে গেলে অার কলম চলেনা,,
এরকম শত শত বাচ্ছা অাছে তাদের মাঝে যাদের
জীবন অাজ অন্ধকারে ডুবে অাছে।
(প্রিয় বন্ধুগন, অামি উক্ত মাদরাসার অবস্থা দেখে ৫০টি,কুরঅান, ৫০টি অামপারা,এবং ১০০টি রেহেল দেওয়ার ওয়াদা করে এসেছি, এমন কোন স্ব-হ্রদয়বান ব্যাক্তি অাছেন যে তাদের কুরঅান তিলাওয়াতের সাহায্যের জন্য কুরঅান অামপারা রেহেল দান করবেন?)
এখন কুরঅান শরিফের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে,অনেক মুরব্বিরা বলছে হুজুর অামাতের কি একটি কুরঅান শরীফ দেওয়া যাই?
কি বলব চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নাই,
বলেছি দিব ইনশাঅাল্লাহ